Hanuman Bahuk in Bengali

বাংলায় হনুমান বাহুক

ছপ্পয়

সিন্ধু তরণ, সিয় -সোচ হরন, রবি বাল বরন তনু |

ভুজ বিশাল, মূরতি করাল কালহু কো কাল জনু ||

গহন-দহন-নিরদহন লঙ্ক নিঃসঙ্ক, বঙ্ক-ভুব ।

জাতুধান-বলবান মান – মদ -দবন পবনসুব ||

কহ তুলসীদাস সেবত সুলভ সেবক হিত সন্তত নিকট |

গুন গনত, নমত, সুমিরত জপত সমন সকল-সংকট-বিকট || 1 ||

অর্থ: তাঁর দেহের রং সূর্য উদয়ের সময়ের মতো, তিনিই মহাসমুদ্র পার হয়ে শ্রী জানকীজির দুঃখ দূর করেন, তাঁর বাহু আকাশে পৌঁছে, তাঁর রূপ ভয়ানক এবং তিনিই কালের সঙ্গে। যেমন. তারা লঙ্কার গভীর অরণ্যকে পোড়াতে সক্ষম ছিল যা অক্ষয় ছিল, তাদের কুটিল ভ্রু রয়েছে এবং তারা অসুরদের অহংকার ও অহংকার ধ্বংস করতে শক্তিশালী। তুলসীদাস জি বলেন – তিনি শ্রীপবনকুমারের সেবা করার জন্য অত্যন্ত যোগ্য, তিনি সর্বদা তাঁর ভক্তদের সাথে থাকেন এবং প্রশংসা, প্রণাম, ধ্যান এবং নামজাপের মাধ্যমে তাদের সমস্ত ভয়ানক কষ্ট দূর করতে সক্ষম।

স্বর্ণ-সইল-সংকাস কোটি-রবি তরুন তেজ ঘন |

উর বিশাল ভুজ দন্ড চন্ড নখ-বজ্রতন ||

পিংগ নয়ন, ভৃকুটি করাল রসনা দসনানন |

কপিস কেস করকস লঙ্গুর, খল-দল-বল-ভানন ||

কহ তুলসীদাস বস জাসু উর মারুতসুত মূরতি বিকট |

সন্তাপ পাপ তেহি পুরুষ পহি সপনেহুঁ নহি , আবত নিকট || 2 ||

অর্থ: তাঁর স্বর্ণ পর্বতের মতো দেহ (সুমেরু), যার আলো সূর্যের মতো উজ্জ্বল, তাঁর বিশাল হৃদয়, অত্যন্ত শক্তিশালী বাহু এবং তাঁর নখগুলি বজ্রপাতের মতো তীক্ষ্ণ। তার চোখ, জিহ্বা, দাঁত এবং একটি হিংস্র মুখ, তার চুল বাদামী এবং তার লেজে দুষ্টদের বাহিনীকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। তুলসীদাস বলেন-যার হৃদয়ে শ্রী পবনকুমারের ভয়ঙ্কর মূর্তি বিরাজ করে, তার স্বপ্নেও দুঃখ ও পাপ হয় না।

ঝুলনা

পঞ্চমুখ – ছ:মুখ ভৃগু মুখ্য ভট অসুর সুর, সর্ব সরি সমর সমরত্থ সুরো |

বাঁকুরো বীর বিরুদৈত বিরুদাবলি, বেদ বন্দি বদত পাইজপুরো ||

জাসু গুনগাথ রঘুনাথ কহ জাসুবল, বিপুল জল ভরিত জগ জলধি ঝুরো |

দুবন দল দমন কো কৌন তুলসীস হৈ পবন কো পুত রজপুত রুরো || 3 ||

অর্থ: শিব, স্বামী-কার্তিকা, পরশুরাম, অসুর এবং দেবতার দল সকলেই যুদ্ধের সাগর পাড়ি দিতে সক্ষম যোদ্ধা। বেদ যেমন বলে, পূজনীয়রা বলেন- তুমি খ্যাতি ও যশের চারিদিকে মহান, পূর্ণ প্রত্যয় ধারণ করে। রঘুনাথ জি তার গুণের গল্প শোনালেন এবং তাঁর অসীম সাহসিকতা দিয়ে তিনি সমুদ্রের জলও শুকিয়ে দিলেন। তুলসীর অধিপতি সুন্দর রাজপুত (পবনকুমার) ছাড়া আর কারোরই রাক্ষস বাহিনীকে ধ্বংস করার সম্ভাবনা নেই। (আর কেউ না)

ঘনাক্ষরী

ভানুসোঙ পড়ন হনুমান গয়ে ভানুমন, অনুমানি সিসু কেলি কিয়ো ফের ফারসো |

পাছিলে পগনি গম গগন মগন মন, ক্রম কো ন ভ্রম কপি বালক বিহার সো ||

কৌতুক বিলোকি লোকপাল হরিহর বিধি, লোচননি চকাচৌন্ধি চিত্তনি খবার সো |

বল কেইঁধো বীর রস ধীরজ কৈ, সাহস কৈ, তুলসী শরীর ধরে সবনি সার সো || 4 ||

অর্থ: হনুমান জি সূর্যদেবের কাছে গিয়ে পড়াশুনা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সূর্য ভগবান শিশুদের খেলা দেখে তাঁর সাথে পড়াশোনা করার কথা ভাবেননি (তিনি অজুহাত দিলেন যে আমি স্থির থাকতে পারি না এবং না দেখে শেখানো অসম্ভব)। হনুমানজি ভাস্করের দিকে মুখ ফিরিয়ে শিশুর খেলার মতো পিছনের পা দিয়ে আকাশের দিকে চলে গেলেন এবং এর পরে তিনি শিক্ষাদানে কোন প্রকার বিভ্রান্তি করলেন না। এই অপরূপ খেলা দেখে ইন্দ্র ও অন্যান্য লোকপাল, বিষ্ণু, রুদ্র ও ব্রহ্মা বিস্ময়ে পরিপূর্ণ হয়ে গেলেন এবং তাদের মনে প্রবল উৎসাহ উদয় হল। তুলসীদাস জী বলেন – সবাই ভাবতে লাগল যে হনুমান জির না শক্তির জ্ঞান ছিল, না সে সাহসের চেতনা জানত, না তার ধৈর্যের জ্ঞান ছিল, না সাহসের জ্ঞান ছিল এবং তার মধ্যে কোনো অনুভূতিও ছিল না। শরীর, কিন্তু তারপরও কীভাবে তিনি সেই আশ্চর্যজনক কীর্তিটি সম্পাদন করলেন?

ভারত মে পারথ কে রথ কেথু কপিরাজ, গাজ্যো সুনি কুরুরাজ দল হল বল ভো |

কাহায়ো দ্রোন ভীষম সমীর সূত মহাবীর, বীর-রস-বারি-নিধি জাকো বল জল ভো ||

বানর সুভায় বাল কেলি ভূমি ভানু লাগি, ফলঙ্গ ফালাঙ্গ হুঁতেঘাটি নভ তল ভো |

নাই-নাই-মাথ জোরি -জোরি হাত যোধা যে হৈ, হনুমান দেখে জগজীবন ক ফল ভো || 5 ||

অর্থ: মহাভারতে হনুমান জি অর্জুনের রথের পতাকায় গর্জন করেছিলেন। ফলে দুর্যোধনের সেনাবাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রোণাচার্য এবং ভীষ্ম-পিতামহ বলেছিলেন যে হনুমানজি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তাঁর শক্তি সমুদ্রের জলের মতো। খেলার সময় তিনি পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছিলেন। সকল যোদ্ধা হনুমানজিকে দেখে তাঁর প্রশংসা করলেন। এইভাবে হনুমানজিকে দেখে সংসারে থাকার ফল পেলেন।

গো-পদ পয়োধি করি, হোলিকা জ্যঁ লাই লংক, নিপট নিঃসঙ্ক পর পুর গল বল ভো |

দ্রোণ সো পহার লিয়ো খ্যাল হয় উখারি কর, কন্দুক জ্যঁ কপি খেল বেল কেইসো ফল ভো ||

সংকট সমাজ অসমঞ্জস ভো রাম রাজ, কাজ জুগ পূগনি কো করতল পল ভো |

সাহসী সমত্থ তুলসী কো নাই জা কি বাঁহ, লোক পাল পালন কো ফির থির থল ভো || 6 ||

অর্থ: গরুর মতো সমুদ্রকে ভয় দেখানোর পাশাপাশি তিনি হনুমানের মতো সাহসী হয়ে হোলিকার মতো নিরাপদ নগরী লঙ্কা পুড়িয়ে দিয়ে শত্রু নগরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। তারা খেলায় ভারী পাহাড়ী ড্রোন তুলতে পারদর্শী ছিল, যেন তারা একটি বল ছুড়েছে। এটি কপিরাজের জন্য একটি লতা-ফলের মতো খেলার সামগ্রী হয়ে ওঠে। যিনি অসীম কষ্ট ছাড়াই রাম-রাজ্যে এসেছিলেন (লক্ষ্মণের শক্তি), তিনি মুহূর্তের মধ্যে যুগের সমস্ত কাজকে তাঁর মুঠোয় নিয়ে আসেন। তুলসীর অধিপতি অত্যন্ত সাহসী এবং শক্তিশালী, তাঁর শক্তিশালী অস্ত্র লোকপালদের নিরাপদ রাখতে এবং স্থিতিশীল সহায়তা প্রদানে সহায়তা করে।

কমঠ কী পীঠি জাকে গোড়নি কী গাড়ৈঁ মানো, নাপ কে ভাজন ভরি জল নিধি জল ভো |

জাতুধান দাবন পরাবন কো দুর্গ ভয়ো, মহা মীন বাস তিমি তোমনি কো থল ভো ||

কুম্ভকরন রাবন পয়োদ নাদ ইধন কো, তুলসী প্রতাপ জাকো প্রবল অনল ভো |

ভীষম কহত মেরে অনুমান হনুমান, সারিখো ত্রিকাল ন ত্রিলোক মহাবল ভো || 7 ||

অর্থ: কচ্ছপের পিঠে তার পায়ের ছাপ ছিল সমুদ্রের পানি ভর্তি করার চিহ্নের মতো, যেন তারা পানি ভর্তি পাত্র। অসুরদের পরাজয়ের সময়, সমুদ্র আসলে তাদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন বড় মাছের আবাসস্থল হয়ে ওঠে। তুলসীদাসজি বলেছেন যে তাঁর শক্তি রাবণ, কুম্ভকর্ণ এবং মেঘনাদকে আগুনের মতো প্রচণ্ডভাবে পোড়াতে সাহায্য করেছিল। ভীষ্মপিতমহা বলেছেন যে, আমার বোধগম্য, তিন কাল ও তিন জগতে হনুমানজির মতো শক্তিশালী আর কেউ নেই।

দূত রাম রায় কো সপূত পূত পৌনকো তু, অঞ্জনী কো নন্দন প্রতাপ ভূরি ভানু সো |

সীয়ো-সোচ-সমন, দুরিত দোষ দমন, সরন আয়ে অবন লখন প্রিয় প্রাণ সো ||

দশমুখ দুসহ দরিদ্র দরিবে কো ভয়ো, প্রকট ত্রিলোক ওক তুলসী নিধান সো |

জ্ঞান গুণবান বলবান সেবা সাবধান, সাহেব সুজান উর আনু হনুমান সো || 8 ||

অর্থ: আপনি সেই হনুমানজী, যিনি রাজা রামচন্দ্রজীর দূত, পবনের পুত্র, অঞ্জনী দেবীর পুত্র এবং আপনার তেজ সূর্যের মতো। তুমি সীতাজীর দুঃখ দূরকারী, পাপ ও দোষ দূরীকরণকারী এবং আত্মসমর্পণকারীদের রক্ষাকারী এবং লক্ষ্মণজীর কাছে নিজের প্রাণের মতই প্রিয়। তুলসীদাসজীর মতে, আপনি রাবণের মতো দরিদ্র ও হতভাগাদের ধ্বংস করার জন্য তিনটি জগতে আবির্ভূত হন। হেই মানুষ! আপনার হৃদয়ে একজন বুদ্ধিমান, গুণী এবং সেবায় পারদর্শী, হনুমানজির মতো একজন চতুর গুরুকে স্থাপন করা উচিত।

দবন দুবন দল ভুবন বিদিত বল, বেদ জস গাবত বিবুধ বন্দি ছোর কো |

পাপ তাপ তিমির তুহিন নিঘটন পটু, সেবক সরোরুহ সুখদ ভানু ভোর কো ||

লোক পরলোক তেঁ বিসোক সপনে ন সোক, তুলসী কে হিয়ে হৈ ভরোসো এক ওর কো |

রাম কো দুলারো দাস বামদেব কো নিবাস নাম কলি কামতরু কেসরি কিসোর কো || 9 ||

অর্থঃ দানবদের সৈন্য বিনাশে কার বীরত্ব জগৎ বিখ্যাত, আর যারা বেদের গুণগান গায়, তারা বলে এই জগতে পবনকুমার ছাড়া দেবতাদের কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারে আর কে? পাপের আঁধার ও দুঃখের হিম নিবারণে তুমি পারদর্শী ও সেবক হয়েছ। আপনি ভোরের সূর্যের মতো, পদ্মকে খুশি করতে সক্ষম। তুলসীদাস জির অন্তরে হনুমানজির প্রতি একমাত্র বিশ্বাস আছে, তিনি স্বপ্নেও এই জগৎ ও পরকালের চিন্তা করেন না এবং তিনি দুঃখমুক্ত। রামচন্দ্রজীর প্রিয়তম কেশরী-নন্দনের নাম এবং শিবের রূপ (এগারোটি রুদ্রের একজন) কালীকালে কল্পবৃক্ষের মতো।

মহাবল সীম মহা ভীম মহাবান ইত, মহাবীর বিদিত বরায়ো রঘুবীর কো |

কুলিস কঠোর তনু জোর পরেই রোর রন, করুনা কলিত মন ধার্মিক ধীর কো ||

দুর্জন কো কালসো করাল পাল সজ্জন কো, সুমিরে হরন হার তুলসী কী পীর কো |

সীয়-সুখ-দায়ক দুলারো রঘুনায়ক কো, সেবক সহায়ক হৈ সাহসী সমীর কো || 10 ||

অর্থ: তুমি অসীম বীরত্ব ও বীরত্বের প্রতিমূর্তি, তোমার প্রচণ্ড দৈহিক রূপ বজ্রপাতের মতো, এবং তোমার শক্তি যুদ্ধক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিখ্যাত। আপনি সুন্দর করুণা ও ধৈর্যের প্রতীক, এবং আপনার মানসিকতা ধর্ম অনুসরণের জন্য বিখ্যাত। আপনি দুষ্টের প্রতি হিংস্র, মহীয়সীকে রক্ষা করেন এবং আপনার স্মৃতি বেসিলকে তার দুঃখ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। তুমি সীতাজীর সুখদাতা, রঘুনাথজীর প্রিয়তমা, এবং পবন পুত্র ভৃত্যদের সাহায্য করার জন্য অত্যন্ত সাহসী।

রচিবে কো বিধি জৈসে, পালিবে কো হরিহর, মীচ মারিবে কো, জ্যাইবে কো সুধাপান ভো |

ধরিবে কো ধরনি, তরনি তম দলিবে কো,সোখিবে কৃসানু পোষিবে কো হিম ভানু ভো ||

খল দুঃখ দোষিবে কো, জন পরিতোষিবে কো, মাঁগিবো মলিনতা কো মোদক দুদান ভো |

আরত কী আরতি নিবারিবে কো তিহুঁ পুর, তুলসী কো সাহেব হঠিলো হনুমান ভো|| 11 ||

অর্থ: সৃষ্টির জন্য আপনি ব্রহ্মা, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিষ্ণু, হত্যার জন্য রুদ্র এবং জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অমৃতের মতো; তুমি পৃথিবীকে রক্ষণাবেক্ষণে, অন্ধকার দূরীকরণে, সুখ প্রদানে, পরিপুষ্টিতে এবং দুষ্টদের শোভিত করতে সাহায্য কর এবং বান্দাদের মনোবাসনা পূরণে আপনি মোদক (মিষ্টি) দাতা। তুলসীর ভগবান হনুমান তিন জগতের দুঃখী মানুষের দুঃখ দূর করতে বদ্ধপরিকর।

সেবক স্যকাই জানি জানকিস মানৈ কানি, সানুকূল সূলপানি নবৈ নাথ নাঁক কো |

দেবী দেব দানব দয়াবনে হৈ জোরৈঁ হাথ, বাপুরে বরাক কহা ঔর রাজা রাঁক কো ||

জাগত সেবত বৈঠে বাগত বিনোদ মোদ, তাকে জো অনর্থ সো সমর্থ এক আঁক কো |

সব দিন রুরো পরৈ পুরো জহাঁ তহাঁ তাহি, জাকে হৈ ভরোসো হিয়ে হনুমান হাঁক কো || 12 ||

অর্থ: জানকীনাথ, হনুমানজির সেবা বুঝতে ইতস্তত করলেন, অর্থাৎ তাঁর কৃতজ্ঞতায় ভীত হয়ে গেলেন এবং তিনি শিবের পাশে থাকতে পছন্দ করলেন, যেখানে ইন্দ্র স্বর্গের অধিপতি। দেবতা এবং দানব সকলেই দয়ার প্রতীক হিসাবে হাত মিলিয়েছেন, তবুও জেনেছেন কে নিঃস্ব রাজা। এটি এই নীতিকে সমর্থন করে যে হনুমানজীর সেবকের বিরুদ্ধে কে হতে পারে, যিনি জেগে, ঘুমাতে, বসা, চলাফেরা এবং খেলার সময় তাঁর সেবায় খুশি হন। তিনি এই মহান নীতি সমর্থন করেন যে তার অন্তরে অঞ্জনী কুমারের জন্য ভক্তি রয়েছে।

সানুগ সগৌরি সানুকূল সূলপানি তাহি,লোকপাল সকল লখন রাম জানকি|

লোক পরলোক কো বিসোক সো তিলোক তাহি, তুলসী তমাই কহা কাহু বীর আনকী ||

কেসরী কিসোর বন্দীছোর কে নেবাজে সব, কীরতি বিমল কপি করুনানিধান কী|

বালক জ্যঁ পালি হৈঁ কৃপালু মুনি সিদ্ধতা কো, জাকে হিয়ে হুলসতি হাঁক হনুমান কী|| 13 ||

অর্থ: যার অন্তরে হনুমানজির প্রতি ভক্তি রয়েছে, ভগবান শঙ্কর, সমস্ত লোকপাল, শ্রী রামচন্দ্র, জানকী এবং লক্ষ্মণজি সহ তাঁর সেবক এবং পার্বতীজী তাঁর উপর খুশি হন। তুলসীদাসজী বলেন, তাহলে তিন জগতে যে যোদ্ধার আশ্রয়ে আছেন, তার জন্য এই দুনিয়া ও পরলোকে দুঃখ কেন? কেশরী-নন্দন, হনুমান জির সুখের কারণে, যিনি করুণার মূর্ত প্রতীক, সমস্ত ঋষিরা সেই ব্যক্তির প্রতি সদয় হন এবং তাকে শিশুর মতো বড় করেন। এইভাবে, কপিশ্বরের খ্যাতি অন্য কারও মতোই পবিত্র।

করুণানিধান বলবুদ্ধি কে নিধান হৌ, মহিমা নিধান গুনজ্ঞান কে নিধান হৌ|

বাম দেব রূপ ভূপ রাম কে সনেহী, নাম, লেত দেত অর্থ ধর্ম কাম নিরবান হৌ ||

আপনে প্রভাব সীতারাম কে সুভাব সীল, লোক বেদ বিধি কে বিদূষ হনুমান হৌ|

মন কী বচন কী করম কী তিহুঁ প্রকার, তুলসী তিহারো তুম সাহেব সুজান হৌ || 14 ||

অর্থ: তুমি করুণার উৎস, জ্ঞান ও শক্তির ভান্ডার, আনন্দের মন্দির এবং পুণ্য ও জ্ঞানের রত্ন; আপনি শঙ্করজীর রূপ ও নামে অর্থ, ধর্ম, কাম ও মোক্ষ প্রদানকারী রাজা রামচন্দ্রের প্রিয়তম। হে হনুমান জি! আপনার শক্তিতে আপনি শ্রী রঘুনাথজীর আচার-প্রকৃতি, জন-বিধান এবং বেদ-বিধি সম্পর্কে জ্ঞানী। তুলসী আপনার মন, বাচন এবং কর্মের সমস্ত দিক থেকে বিশ্বস্ত এবং আপনি একজন বুদ্ধিমান গুরু, ভিতরে এবং বাইরের সমস্ত গোপনীয়তা জানেন।

মন কো অগম তন সুগম কিয়ে কপিস, কাজ মহারাজ কে সমাজ সাজ সাজে হৈঁ |

দেববন্দি ছোর রনরোর কেসরী কিসোর, জুগ জুগ জগ তেরে বিরদ বিরাজে হৈঁ ||

বীর বড়জোর ঘটি জোর তুলসী কী ওর, সুনি সকুচানে সাধু খল গন গাজে হৈঁ |

বিগরী সঁবার অঞ্জনী কুমার কিজে মোহিঁ, জৈসে হোত আয়ে হনুমান কে নিবাজে হৈঁ ||15 ||

অর্থঃ হে কপিরাজ! যাদের মনে দুর্ভাগ্য ছিল তাদের সাথে আপনি ভগবান রামের কাজ সহজ করে দিয়েছেন। হে কেশরী কুমার! তুমি দেবতাদের মুক্তিদাতা, যিনি যুদ্ধক্ষেত্রকে উদ্যমে পূর্ণ করেন এবং তোমার মহিমা যুগে যুগে পৃথিবীতে বিখ্যাত। আপনি একটি আশ্চর্যজনক যোদ্ধা! তুলসীর প্রতি তোমার শক্তি কমে গেল কেন, যা শুনে ঋষিরাও খুশি এবং দুষ্টরাও সন্তুষ্ট? হে অঞ্জনী কুমার! আমার ভুল সংশোধন করুন, যেমন আপনার গ্রহণযোগ্যতার দ্বারা সংশোধন করা হয়েছে।

সবৈয়া

জান সিরোমনি হো হনুমান সদা জন কে মন বাস তিহারো|

ঢ়ারো বিগারো মৈঁ কাকো কহা কেহি কারন খীঝত হৌঁ তো তিহারো||

সাহেব সেবক নাতে তো হাতো কিয়ো সো তহাঁ তুলসী কো ন চারো|

দোষ সুনায়ে তৈঁ আগেহুঁ কো হোশিয়ার হ্বৈঁ হোঁ মন তো হিয় হারো || 16 ||

অর্থঃ হে ভগবান হনুমান! আপনি সর্বোত্তম জ্ঞান এবং সর্বদা আপনার বান্দাদের অন্তরে বাস করেন। তুলসীর কোন হুকুম নেই আমি কারো কি ক্ষতি বা ক্ষতি করি। আমার মন পরাজিত হলেও, দয়া করে আমার অপরাধ শোন, যাতে আমি ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হতে পারি।

তেরে থপৈ উথপৈ ন মহেস, থপৈ থির কো কপি জে উর ঘালে|

তেরে নিবাজে গরীব নিবাজ বিরাজন বৈরিন কে উর সালে||

সংকট সোচ সবৈ তুলসী লিয়ে নাম ফটৈ মকরী কে সে জালে|

বুঢ় ভয়ে বলি মেরিহিঁ বার, কি হারি পরে বহুতৈ নত পালে|| 17 ||

অর্থ: হে বানর রাজা! ভগবান শঙ্করও তোমার আগমনে বিনষ্ট হতে পারে না, আর তুমি যে গৃহ ধ্বংস করেছ তা অন্য কেউ কিভাবে স্থাপন করবে? হে গরীব মানুষ! তোমার প্রসন্নতায় যারা বেদনায় বসে থাকে, তারা প্রকৃতপক্ষে শত্রুদের হৃদয়ে বেদনার মতো পূজনীয়। তুলসীদাস জী বলেন, তোমার নাম নিলে সমস্ত ঝামেলা ও সংশয় মাকড়সার জালের মত নষ্ট হয়ে যায়। বলিহারী ! তুমি কি আমার চেয়ে বড় হয়ে গেছ, নাকি এত গরীব মানুষকে অনুসরণ করতে করতে ক্লান্ত? (তারা সন্তান লালন-পালনে একটু শিথিল হচ্ছে)।

সিন্ধু তরে বড়ে বীর দলে খল, জারে হৈঁ লংক সে বঁক মবাসে|

তৈঁ রনি কেহরি কেহরি কে বিদলে অরি কুঞ্জর ছৈল ছবাসে||

তোসো সমত্থ সুসাহেব সেই সহৈ তুলসী দুখ দোষ দবা সে |

বানরবাজ ! বঢ়ে খল খেচর, লিজত কয়োঁ ন লপেটি লবাসে || 18 ||

অর্থ: তুমি সাগর পাড়ি দিয়ে বিশাল রাক্ষস বধ করে লঙ্কার মতো ভয়ঙ্কর দুর্গ পুড়িয়ে দিয়েছ। হে প্রকৃত যুদ্ধের সিংহ! সেই রাক্ষসরা বাচ্চা হাতির মত শত্রু ছিল, কিন্তু আপনি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। একজন নির্দোষ এবং নিখুঁত গুরুর সেবা করার সময় আপনি তুলসীর অপরাধ ও দুঃখ সহ্য করেন (এটি সত্যিই আশ্চর্যজনক)। হে বায়ুর বানরসদৃশ পুত্র! অনেক দুষ্ট লোক গাছের আকারে লুকিয়ে থাকে, পাখির মতো তাদের ধরতে হবে।

অচ্ছ বিমর্দন কানন ভানি দসানান আনন ভা ন নিহারো|

বারিদনাদ অকম্পন কুম্ভকরন সে কুজ্জর কেহরি বারো ||

রাম প্রতাপ হুতাসন, কচ্ছ, বিপচ্ছ, সমীর সমীর দুলারো |

পাপ তে সাপ তে তাপ তিহুঁ তেঁ সদা তুলসী কহ সো রখবারো || 19 ||

অর্থ: হে হনুমানজী, যিনি অক্ষয়কুমারকে পরাজিত করেছেন! তুমি অশোক বাগান ধ্বংস করেছ, রাবণের মতো শক্তিশালী যোদ্ধার দিকে একবারও তাকাওনি, অর্থাৎ তাকে কোনো গুরুত্ব দাওনি। মেঘনাদ, আকাম্পান ও কুম্ভকর্ণের মতো মহা বীরদের জীবন সমাবেশে তোমরা শিশুর মতো। রাবণের তিন মহান শক্তিমান পুত্রের বিপরীতে ভগবান রামের মাহাত্ম্য আগুনের মতো, এবং বাতাসের পুত্র হনুমান তাদের কাছে বাতাসের মতো। তিনিই সর্বদা তুলসীদাসকে পাপ, অভিশাপ ও কষ্ট থেকে রক্ষা করেন।

ঘনাক্ষরী

জানত জহান হনুমান কো নিবায্যো জন, মন অনুমানি বলি বোল ন বিসারিয়ে|

সেবা জোগ তুলসী কবহুঁ কহা চুক পরি, সাহেব সুভাব কপি সাহিবী সম্ভারিয়ে ||

অপরাধী জানি কীজৈ সাসতি সহস ভান্তি, মোদক মরৈ জো তাহি মাহুর ন মারিয়ে|

সাহসী সমীর কে দুলারে রঘুবীর জু কে,বাঁহ পীর মহাবীর বেগি হি নিবারিয়ে || 20 ||

অর্থঃ হে ভগবান হনুমান! আমি সমস্যায় আছি, দয়া করে আপনার প্রতিশ্রুতি ভুলবেন না। ভাবুন, যিনি জগৎ জানেন, তিনি আপনার ভক্ত, সর্বদা বিনয়ী এবং সুখী। হে স্বামী কপিরাজ! তুলসী কি কখনো তোমার সেবার যোগ্য ছিল? কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন, তবে আপনার ভক্তের যত্ন নিন। আপনি যদি আমাকে পাপী মনে করেন তবে দয়া করে আমাকে কঠোর শাস্তি দিন, তবে যে আপনাকে মিষ্টি দিতে প্রস্তুত এবং মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে তার ক্ষতি করবেন না। হে পরাক্রমশালী ও সাহসী হনুমান, ভগবান রঘুনাথের প্রিয়! অনুগ্রহ করে অবিলম্বে আমার বাহুতে ব্যথা উপশম করুন।

বালক বিলোকি, বলি বারেঁ তেঁ আপনো কিয়ো, দীনবন্ধু দয়া কীন্হীঁ নিরুপাধি ন্যারিয়ে|

রাবরো ভরোসো তুলসী কে, রাবরোই বল, আস রাবরিয়ৈ দাস রাবরো বিচারিয়ে ||

বড়ো বিকরাল কলি কাকো ন বিহাল কিয়ো, মাথে পগু বলি কো নিহারি সো নিবারিয়ে|

কেসরি কিসোর রনরোর বরজোর বীর, বাঁহ পীর রাহু মাতু জ্যৌঁ পছারি মারিয়ে || 21 ||

অর্থ: হে বন্ধুরা! আমি বালি, এবং আপনি যখন সেই শিশুটিকে দেখেছিলেন, আপনি তাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং কোনও ফাঁদ এবং মায়া ছাড়াই আপনি তাকে অতুলনীয় মমতা দেখিয়েছিলেন। সত্যিই, তুলসী আপনার ভক্ত এবং তিনি আপনার উপর, আপনার শক্তি এবং আশার উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। কোন ভয়ংকর সময় কাকে অস্থির করেনি? দয়া করে আমার মাথায় এই মহাশক্তির পা দেখে সেখান থেকে সরিয়ে দিন। হে কেশরী পুত্র, পরাক্রমশালী যোদ্ধা! আপনি যুদ্ধে আলোড়ন সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন, রাহুর মা সিংহিকার মতো বাহুতে ব্যথাকে পরাজিত করবেন।

উথপে থপনথির থপে উথপনহার, কেসরী কুমার বল আপনো সঁবারিয়ে|

রাম কে গুলামনি কো কাম তরু রামদূত,মোসে দীন দুবরে কো তকিয়া তিহারিয়ে||

সাহেব সমর্থ তো সোঁ তুলসী কে মাথে পর, সোঊ অপরাধ বিনু বীর, বাঁধি মারিয়ে|

পোখরী বিসাল বাঁহু, বলি বারিচর পীর, মকরী জ্যোঁ পকরি কে বদন বিদারিয়ে || 22 ||

অর্থঃ হে কেশরী কুমার! তুমি উজাড়দের (সুগ্রীব ও বিভীষণ) বসতি স্থাপন করেছ এবং বসবাসকারীদের (রাবণ ও তার সঙ্গীদের) ধ্বংস করেছ, তোমার সেই শক্তির কথা স্মরণ করো। হে, রামচন্দ্রজীর সেবকদের জন্য তুমি কল্পবৃক্ষ এবং দরিদ্র ও দুর্বলদের জন্য তোমার সঙ্গী। হে সাহসী! তুলসীর কপালে তোমার মতো মহান প্রভু থাকা সত্ত্বেও তাকে বেঁধে হত্যা করা হয়। আমি ত্যাগী, আমার বাহু জলের মতো বিস্তৃত এবং তাদের মধ্যে এই যন্ত্রণার অবসান হয়েছে, যেমন জলজকে ধরা পড়ে যুদ্ধ করা হয়। দয়া করে মাকড়সার মতো এই জলজ প্রাণীটিকে ধরে তার মুখ ছিঁড়ে দিন।

রাম কো সনেহ, রাম সাহস লখন সময়, রাম কী ভগতি, সোচ সঙ্কট নিবারিয়ে|

মুদ মরকট রোগ বারিনিধি হেরি হারে, জীব জামবন্ত কো ভরোসো তেরো ভারিয়ে||

কুদিয়ে কৃপাল তুলসী সুপ্রেম পব্বয়তেঁ, সুথল সুবেল ভালু বৈঠি কৈ বিচারিয়ে|

মহাবীর বাঁকুরে বরাকী বাঁহ পীর কয়োঁ ন, লংকিনী জ্যোঁ লাত ঘাত হী মরোরি মারিয়ে||23||

অর্থ: রামচন্দ্রজীর প্রতি আমার স্নেহ আছে, আমি তাঁর পূজা করি এবং তাঁর ভাই লক্ষণ ও স্ত্রী সীতাজীর কৃপায় আমার সাহস আছে, যা দিয়ে আমি অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারি। দয়া করে আমার দুঃখ ও কষ্ট দূর করুন। ব্যাধির মত বৃহৎ সাগর দেখে আনন্দে বানর ত্যাগ করেছে, আর বন রূপে জাম্ববন তোমার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেছে। হে করুণাময়! আপনি কৃপায় পূর্ণ, দয়া করে তুলসীর প্রেমের সুন্দর পর্বত থেকে ঝাঁপ দিয়ে আমাকে সাহায্য করুন এবং জাম্ববন জির অপেক্ষায় আমার সেরা স্থান (হৃদয়ের) পবিত্র পর্বতে বসে থাকুন। হে পরাক্রমশালী বাহিনীর যোদ্ধা! আমার বাহুর ব্যথায় লঙ্কিনীকে দুমড়ে মুচড়ে মেরে ফেলছ না কেন?

লোক পরলোকহুঁ তিলোক ন বিলোকিয়ত, তোসে সমরথ চষ চাহিহুঁ নিহারিয়ে|

কর্ম, কাল, লোকপাল, অগ জগ জীবজাল, নাথ হাথ সব নিজ মহিমা বিচারিয়ে ||

খাস দাস রাবরো, নিবাস তেরো তাসু উর, তুলসী সো, দেব দুখী দেখিঅত ভারিয়ে|

বাত তরুমূল বাঁহুসূল কপিকচ্ছু বেলি, উপজী সকেলি কপি কেলি হী উখারিয়ে || 24 ||

অর্থ: আমি চার দিক থেকে তিনটি জগতে (পৃথিবী, স্বর্গ, পাতাল) দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু তোমার মত কেউ নেই। হে নাথ! সমস্ত কর্ম, কাল, লোকপাল এবং সমস্ত স্থাবর ও জঙ্গম জীবের সঞ্চয় আপনার হাতে, দয়া করে আপনার মহিমাকে চিন্তা করুন। হে ঈশ্বর! তুলসী তোমার বিশেষ সেবক, তুমি তার অন্তরে বাস কর, সে গভীর দুঃখে। আর্থ্রাইটিস জনিত বাহুতে ব্যথা কাদায় লতার মত করে তার মূল বেঁধে বানর খেলার সাহায্যে দূর করুন।

করম করাল কঁস ভূমিপাল কে ভরোসে, বকি বক ভগিনী কাহু তেঁ কহা ডরৈগী|

বড়ী বিকরাল বাল ঘাতিনী ন জাত কহি, বাঁহু বল বালক ছবীলে ছোটে ছরৈগী||

আই হৈ বনাই বেষ আপ হী বিচারি দেখ, পাপ জায় সব কো গুনী কে পালে পরৈগী|

পুতনা পিসাচিনী জ্যোঁ কপি কান্হ তুলসী কী, বাঁহ পীর মহাবীর তেরে মারে মরৈগী || 25 ||

অর্থঃ রাক্ষসী পুতনা ভগিনী বকাসুর কি কর্ম্মরূপে উগ্র কংসরাজের ভরসায় কাউকে ভয় পাবে? তিনি শিশুদের হত্যার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভয়ানক, এবং তার কৌতুকগুলি অনন্য, কেউ বলতে সক্ষম নয়, সে তার বড় অস্ত্র দিয়ে ছোট শিশুদের হত্যা করার চেষ্টা করবে৷ অনুগ্রহ করে বিবেচনা করুন, তিনি একটি সুন্দর রূপে এসেছেন, এবং আপনি যদি শিশুদের কাছে সারখার গুণাবলী প্রকাশ করেন তবে সকলের পাপ মুছে যাবে। হে পরাক্রমশালী যোদ্ধা! তুলসীর বাহুতে ব্যাথা পূতনা পিশাচিনীর মত, আর তুমি বালকৃষ্ণের রূপ, আঘাত করলেই মৃত্যু হবে।

ভাল কী কি কাল কী কি রোষ কী ত্রিদোষ কী হৈ, বদেন বিষম পাপ তাপ ছল ছাঁহু কী|

করমন কুট কী কি জন্ত্র মন্ত্র বুট কী, পরাহি জাহি পাপিনী মলীন মন মাঁহ কী||

পৈহহি সজায়, নত কহত বজায় তোহি, বাবরী ন হোহি বানি জানি কপি নাঁহ কী|

আন হনুমান কী দুহাই বলবান কী, সপথ মহাবীর কী জো রহিম পীর বাঁহ কী || 26 ||

অর্থ: এই কষ্ট বিনা কারণে নয়, এটা কেবল আমার ভয়ানক পাপের ফল, এবং এর মধ্যে রয়েছে দুর্ভোগ ও প্রতারণা। মৃত্যু এবং অন্যান্য ধরণের অনন্য প্রতিকারের পরিবর্তে, এটি কেবল আমার পাপের ছায়া, হে মনের নোংরা পাপী, পূতনা! তুমি যাও, নইলে আমি তোমাকে লাঠির মতো পিটাবো, যাতে তুমি কপিরাজের স্বভাব নষ্ট না করো। যিনি বাহুতে ব্যথা দেন, আমি এখন শক্তিশালী হনুমান জিকে সাহায্য করি এবং রক্ষা করি, যার অর্থ তিনি আর আপনার ক্ষতি করতে পারবেন না।

সিংহিকা সংহারি বল সুরসা সুধারি ছল, লংকিনী পছারি মারি বাটিকা উজারী হৈ|

লংক পরজারি মকরী বিদারি বার বার, জাতুধান ধারি ধুরি ধানী করি ডারি হৈ||

তোরি জমকাতরি মন্দোদরী কঠোরি আনি, রাবন কী রানী মেঘনাদ মহতারী হৈ|

ভীর বাঁহ পীর কী নিপট রাখা মহাবীর, কৌন কে সকোচ তুলসী কে সোচ ভারী হৈ || 27 ||

অর্থ: সিংহিকার শক্তিকে পরাজিত করে, সুরসার কৌশল সংশোধন করে, লঙ্কিনীকে হত্যা করে এবং অশোক-বটিকাকে ধ্বংস করে। লঙ্কাপুরী ধ্বংস। যমরাজের তরবারি তার পর্দা ছিঁড়ে মেঘনাদের মা ও রাবণের স্ত্রীকে প্রাসাদ থেকে বের করে আনে। হে পরাক্রমশালী যোদ্ধা! তুলসীর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, এবং আপনি শুধুমাত্র অন্য কারো কারণে আমার হাতের ব্যথা রেহাই দিয়েছেন।

তেরো বালি কেলি বীর সুনি সহমত ধীর, ভূলত সরীর সুধি সক্র রবি রাহু কী|

তেরি বাঁহ বসত বিসোক লোক পাল সব, তেরো নাম লেত রহৈঁ আরতি ন কাহু কী ||

সাম দাম ভেদ বিধি বেদহু লবেদ সিধি, হাথ কপিনাথ হী কে চোটী চোর সাহু কী|

আলস অনখ পরিহাস কৈ সিখাবন হৈ, এতে দিন রহী পীর তুলসী কে বাহু কী || 28 ||

অর্থঃ হে সাহসী! তোমার যৌবনের খেলা শুনে মানুষ হতভম্ব হয়ে যায় এবং ইন্দ্র, সূর্য ও রাহু দেবতারা তাদের দেবত্ব ভুলে যায়। সমস্ত রক্ষক আপনার শক্তিশালী অস্ত্রের শক্তিতে সন্তুষ্ট থাকে এবং আপনার নাম জপে দুঃখ দূর হয়। এটা স্পষ্ট যে সাহসী চোর এবং তপস্বীদের নেতৃত্ব কেবল কপিনাথের হাতেই রয়েছে, যেমনটি শাস্ত্র এবং বেদে স্পষ্ট করা হয়েছে। তুলসীদাস এত দিন ধরে কী সমস্যায় পড়েছেন, তা আপনার অলসতা নাকি রাগ, রসিকতা নাকি শিক্ষা।

টুকনি কো ঘর ঘর ঝোলত কংগাল বলি, বাল জ্যোঁ কৃপাল নত পাল পালি পোসো হৈ|

কীন্হী হৈ সঁভার সার অঞ্জনী কুমার বীর, আপনো বিসারি হৈঁ ন মেরেহু ভরোসো হৈ||

ইতনো পরেখো সব ভান্তি সমরথ আজু, কপিরাজ সাঁচি কহৌঁ কো তিলোক তোসো হৈ|

সাসতি সহত দাস কীজে পেখি পরিহাস, চীরী কো মরন খেল বালকনি কোসো হৈ || 29 ||

অর্থ: হে দরিদ্রদের রক্ষাকারী দয়াময়! একদিন চরম দারিদ্রে ঘেরা ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে ডেকে শিশুর মতো বড় করেছ। হে সাহসী অঞ্জনি কুমার! প্রধানত আপনি আমাকে রক্ষা করেছেন, আপনি আপনার ভক্তদের কখনও ভুলে যাবেন না, আমিও এই বিষয়ে নিশ্চিত। হে কপিরাজ! আজ তুমি সর্বদিক দিয়ে শক্তিমান, সত্যি বলছি, তিন জগতে তোমার মত কে আছে? কিন্তু আমি দেখেছি যে, এই বান্দা অসুখী, পাখির মতো বাচ্চাদের খেলতে খেলতে মারা যাচ্ছে এবং আপনি এই সব দেখছেন।

আপনে হী পাপ তেঁ ত্রিপাত তেঁ কি সাপ তেঁ, বঢ়ী হৈ বাঁহ বেদন কহী ন সহি জাতি হৈ|

ঔষধ অনেক জন্ত্র মন্ত্র টোটকাদি কিয়ে, বাদি ভয়ে দেবতা মনায়ে অধীকাতি হৈ ||

করতার, ভরতার, হরতার, কর্ম কাল, কো হৈ জগজাল জো ন মানত ইতাতি হৈ|

চেরো তেরো তুলসী তু মেরো কহ্যো রাম দূত, ঢীল তেরী বীর মোহি পীর তেঁ পিরাতি হৈ || 30 ||

অর্থ: আমার পাপের কারণে বা তিন প্রকারের দুঃখের কারণে আমার বাহুতে ব্যথা বেড়েছে, যা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই এবং তা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ, যন্ত্র, মন্ত্র, কৌশল ইত্যাদি চেষ্টা করা হয়েছে, দেবতাদের পূজা করা হয়েছে। কিন্তু সবই ছিল বৃথা, ব্যথা বাড়ে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ, কর্ম, কাল ও সংসারের জাল, যারা তোমার আদেশ মানে না। হে রামদূত! তুলসী আপনার ভক্ত এবং আপনি তাকে আপনার দাস বলেছেন। হে সাহসী! তোমার অদম্য ইচ্ছার শক্তি আমাকে এই যন্ত্রণার চেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে।

দুত রাম রায় কো, সপূত পূত বায় কো, সমত্থ হাথ পায় কো সহায় অসহায় কো |

বাঁকী বিরদাবলী বিদিত বেদ গাইয়ত, রাবন সো ভট ভয়ো মুঠিকা কে ধায় কো ||

এতে বড়ে সাহেব সমর্থ কো নিবাজো আজ, সীদত সুসেবক বচন মন কায় কো|

থোরি বাঁহ পীর কী বড়ী গলানি তুলসী কো,কৌন পাপ কোপ, লোপ প্রকট প্রভায় কো|| 31 ||

অর্থ: তুমি রাজা রামচন্দ্রের দূত, বাতাসের পুত্র, যার হাতে-পায়ে শক্তি আছে এবং নিঃস্বদের সাহায্যকারী। তোমার খ্যাতি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ, বেদ তোমার প্রশংসা করে, এমনকি রাবণের মতো তিনজন বিশ্বজয়ী যোদ্ধাও তোমার শক্তির শিকার হয়েছে। এত মহান ও যোগ্য মনিবের আশীর্বাদ পেয়েও আপনার মহৎ বান্দা আজও বাহুতে এই সামান্য ব্যথায় ভুগছেন। তুলসীদাস এই দুঃখে অত্যন্ত বিস্মিত যে, কোন্ পাপের কারণে বা আপনার ক্রোধের কারণে আপনার প্রত্যক্ষ সাহায্যকারী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।

দেবী দেব দনুজ মনুজ মুনি সিদ্ধ নাগ, ছোটে বড়ে জীব জেতে চেতন অচেত হৈঁ|

পুতনা পিসাচী জাতুধানী জাতুধান বাগ, রাম দূত কী রজাই মাথে মানি লেত হৈঁ||

ঘোর জন্ত্র মন্ত্র কুট কপট কুরোগ জোগ, হনুমান আন সুনি ছাড়ত নিকেত হৈঁ|

ক্রোধ কিজে কর্ম কো প্রবোধ কীজে তুলসী কো, সোধ কীজে তিনকো জো দোষ দুখ দেত হৈঁ|| 32 ||

অর্থ: দেবী, দেবতা, দানব, মানুষ, ঋষি, সিদ্ধ ও সর্প, সমস্ত ছোট-বড় প্রাণী এবং পুতনা, পিসাচিনী ও রাক্ষসীর মতো হিংস্র প্রাণী, তারা সকলেই রামদূত পবনকুমারের আদেশকে সম্মান করে। হনুমানজীর আবেদন শুনে তিনি ভয়ানক যন্ত্র-মন্ত্র, প্রতারক এবং অশুভ রোগের বিরোধিতা করেন এবং স্থান ত্যাগ করেন। আমার অপরাধ কর্মে রাগ কর, আমার দুঃখ দূর কর এবং আমার পাপ সংশোধন কর।

তেরে বল বানর জিতায়ে রন রাবন সোঁ, তেরে ঘালে জাতুধান ভয়ে ঘর ঘর কে|

তেরে বল রাম রাজ কিয়ে সব সুর কাজ, সকল সমাজ সাজ সাজে রঘুবর কে||

তেরো গুনগান সুনি গীরবান পুলকত, সজল বিলোচন বিরঁচি হরিহর কে|

তুলসী কে মাথে পর হাথ ফেরো কীস নাথ, দেখিয়ে ন দাস দুখী তোসো কনিগর কে || 33 ||

অর্থ: তোমার শক্তি বানরদের রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করতে পরিচালিত করেছিল এবং তোমার মহাশক্তি রাক্ষসদের পরাজিত করেছিল। তোমার বিস্ময়কর শক্তি রাজা রামচন্দ্রজীর মাধ্যমে দেবতাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করেছিল এবং তুমি তাঁর সমাজকে শোভিত করেছিলে। আপনার গুণের প্রশংসা করে দেবতারাও বিস্মিত হন এবং ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের চোখে জল। হে বানরদের প্রভু! আমার তুলসীর কপালে হাত রাখো, তোমার মত মর্যাদার সত্যিকারের অনুসারী, বানরের রাজাকে কখনো দুঃখী দেখিনি।

পালো তেরে টূক কো পরেহু চূক মূকিয়ে ন, কূর কৌড়ি দূকো হৌঁ আপনী ঔর হেরিয়ে|

ভোরানাথ ভোরে হী সরোষ হোত থোরে দোষ, পোষি তোষি থাপি আপনো ন অব ডেরিয়ে||

অঁবু তূ হৌঁ অঁবু চূর, অথবা তূ হৌঁ ভিঁভ সো ন, বুঝিয়ে বিলম্ব অবলম্ব মেরে তেরিয়ে|

বালক বিকল জানি পাহি প্রেম পহিচানি, তুলসী কী বাঁহ পর লামী লুম ফেরিয়ে || 34 ||

অর্থ: আমি তোমার টুকরো থেকে জন্মেছি, এবং আমি হারিয়ে গেলেও চুপ করো না। আমি ছোট কুমার, তোমার সেবক, কিন্তু আমার দিকে তাকাও। হে নিষ্পাপ! আপনার সরলতার কারণে আপনি একটু রাগ করেন, আমাকে সন্তুষ্ট করে আমার কাছে আসেন, আমাকে আপনার সেবক হিসাবে বিবেচনা করুন, দয়া করে আমার জন্য কোনও ঝামেলা তৈরি করবেন না। তুমি যদি জল হও তবে আমি মাছ, তুমি মা হলে আমি শিশু, দেরি করো না, আমি তোমার আশ্রয় খুঁজছি। আমার সাথে দুস্থ শিশুর মত আচরণ করুন এবং তাকে সমর্থন করুন, তুলসীর ব্যথা উপশম করার জন্য আপনার করুণার চিহ্ন দেখান, দয়া করে।

ঘেরি লিয়ো রোগনি, কুজোগনি, কুলোগনি জ্যোঁ, বাসর জলদ ঘন ঘটা ধুকি ধাই হৈ|

বরসত বারি পীর জারিয়ে জবাবে জস, রোষ বিনু দোষ ধূম মূল মলিনাই হৈ ||

করুনানিধান হনুমান মহা বলবান, হেরি হাসি হাঁকি ফুংকি ফৌংজৈ তে উড়াই হৈ|

খায়ে হুতো তুলসী কুরোগ রাঢ় রাকসনি, কেসরি কিসোর রাখে বীর বরিআই হৈ || 35 ||

অর্থ: অসুখ, অশুভ সংমিশ্রণ এবং অশুভ লোকেরা আমাকে ঘিরে রেখেছে, যেমন দিনে আকাশ জুড়ে মেঘের ঝাঁক ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা দুঃখের বৃষ্টির আকারে আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, কিন্তু পরাক্রমশালী হনুমান তাদের ক্রোধের জবাব দিয়েছিলেন এবং কোনও পাপ ছাড়াই তিনি এই দুষ্টদের আগুনের মতো পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। হে পরাক্রমশালী হনুমানজী, করুণার সংগ্রাহক! তুমি হেসে হেসে তোমার শক্তিশালী আঘাতে প্রতিপক্ষ সেনাদের উড়িয়ে দাও। হে কেশরী কিশোর বীর! কুরোগ রাক্ষস তুলসী খেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে রক্ষা করে আমাকে রক্ষা করেছ।

সৈবয়া

রাম গুলাম তু হী হনুমান গোসাঁই সুসাঁই সদা অনুকূলো|

পাল্যো হৌঁ বাল জ্যোঁ আখর দূ পিতূ মাতূ সোং মংগল মোদ সমূলো||

বাঁহ কী বেদন বাঁহ পগার পুকারত আরত আনঁদ ভূলো |

শ্রী রঘুবীর নিবারিয়ে পীর রহৌঁ দরবার পরো লটি লূলো || 36 ||

অর্থঃ হে গোস্বামী হনুমানজী! আপনি একজন চমৎকার গুরু এবং সর্বদা শ্রী রামচন্দ্রজীর সেবকদের পাশে আছেন। “রাম-রাম” শব্দগুলি আমাকে পিতামাতার মতো যত্ন করেছে, যা সর্বদা আনন্দ এবং শুভর কারণ। হে বহুপাগার! সুখ ভুলে দুঃখে কাঁদছি তোমার বাহুতে ব্যথায়। হে রঘু বংশের সাহসী! দয়া করে আমার কষ্ট দূর করুন, যাতে আমি দুর্বল ও অক্ষম হয়েও আপনার দরবারে থাকতে পারি।

ঘনাক্ষরী

কাল কী করালতা করম কঠিনাই কীধৌ, পাপ কে প্রভাব কী সুভায় বায় বাবরে|

বেদন কুভাঁতি সো সহী ন জাতি রাতি দিন, সোই বাঁহ গহি জো গহী সমীর ডাবরে||

লায়ো তরু তুলসী তিহারো সো নিহারি বারি, সীঁচিয়ে মলীন ভো তয় হৈ তিহুঁ তাবরে|

ভুতনি কী আপনী পরায়ে কী কৃপা নিধান, জানিয়ত সবহী কী রীতি রাম রাবরে || 37 ||

অর্থঃ কালের ভয়াবহতা, কর্মের অসুবিধা, পাপের প্রভাবে, নাকি স্বাভাবিক ক্রোধের কারণে তা জানি না, তবে দিনরাত্রি এক ভয়ানক যন্ত্রণা যা সহ্য করা যায় না, আর তা হল বাহু। এখনও পবন কুমারের হাতে। তোমার ভালোবাসায় রোপণ করা হয়েছে তুলসী গাছ। তাদের বেদনাদায়ক অবস্থা এই তিনটি অসুবিধার জন্য নিরপেক্ষ, এবং আপনার করুণার সাগর তাদের নিরাময়ে কাজ করবে। হে দয়ানিধন রামচন্দ্রজী, আপনি সমস্ত প্রাণীর, নিজের এবং আপনার জায়গায় সকলের কান্নার প্রক্রিয়া জানেন।

পাঁয় পীর পেট পীর বাঁহ পীর মুঁহ পীর, জর জর সকল পীর মই হৈ |

দেব ভূত পিতর করম খল কাল গ্রহ, মোহি পর দেরি দমানক সী দই হৈ||

হৌঁ তো বিনু মোল কে বিকানো বলি বারে হীতেঁ, ওট রাম নাম কী ললাট লিখি লই হৈ |

কুঁভজ কে কিংকু বিকল বূঢ়ে গোখুরনি, হায় রাম রায় অ্যাইসি হাল কহূঁ ভই হৈ|| 38 ||

অর্থ: পা, পেট, বাহু ও মুখের ব্যথা, শারীরিক ব্যথা আমাকে বৃদ্ধ ও দুর্বল করে তুলেছে। দেবতা, পিতৃপুরুষ, ভূত, কর্ম, কাল, অশুভ গ্রহ, এরা সবাই আমাকে কামানের বন্যার মতো আক্রমণ করছে। আমি শৈশব থেকে তোমার হাতে, বিনা মূল্যে রাম নাম লিখে রেখেছি মনে। হে রাজা রামচন্দ্রজী! অগস্ত্য মুনির ভৃত্য গরুর খুরে ডুবে মারা গেল এমন কিছু কি হয়েছে?

বাহুক সুবাহু নীচ লীচর মরীচ মিলি, মুঁহ পীর কেতুজা কুরোগ জাতুধান হৈ|

রাম নাম জপ জাগ কিয়ো চহোং সানুরাগ, কাল কৈসে দূত ভূত কহা মেরে মান হৈ||

সুমিরে সহায় রাম লখন আখর দৌঊ, জিনকে সমুহ সাকে জাগত জহান হৈ |

তুলসী সঁভারি তাডকা সংহারি ভারি ভট, বেধে বরগদ সে বনাই বানবান হৈ || 39 ||

অর্থ: আমার বাহু বেদনা রূপে, তারা সুবাহু এবং মারিচ এবং তদকা প্রভৃতি রাক্ষস রূপে। আমার মুখের ব্যথা এবং অন্যান্য খারাপ রোগ অন্যান্য রাক্ষস থেকে এসেছে। আমি ভালোবেসে রামনাম জপতে চাই, কিন্তু কালের নিয়মে কি এই ভূতগুলো আমার নিয়ন্ত্রণে আছে? (এটা সম্ভব নয়।) যাদের নাম পৃথিবীতে বড় হয়ে উঠছে তারা আমাকে “R” এবং “M” দুটি অক্ষর মনে রাখতে সাহায্য করবে। হে তুলসী! যে মহান যোদ্ধাকে তাটকা হত্যা করে তার তীরের লক্ষ্য বানিয়েছিলেন, আপনি তাদের সাথে পরবর্তী বিন্দুতে একটি বড় ফলের মতো ধ্বংস করবেন।

বালপনে সুধে মন রাম সনমুখ ভয়ো, রাম নাম লেত মাংগি খাত টুক টাক হৌঁ |

পরয়ো লোক রীতি মেঁ পুনিত প্রীতি রাম রায়, মোহ বস বৈঠো তোরি তরকি তরাক হৌঁ||

খোটে খোটে আচরন আচরত অপনায়ো, অঞ্জনী কুমার সোধ্যো রামপানি পাক হৌঁ |

তুলসী গুসাঁই ভয়ো ভোঁডে দিন ভুল গয়ো, তাকো ফল পাবত নিদান পরিপাক হৌঁ || 40 ||

অর্থ: ছোটবেলা থেকেই আমি মুক্ত মন নিয়ে শ্রী রামচন্দ্রজীর সামনে আসতাম এবং রাম নাম চিবিয়ে খেতাম। অতঃপর যৌবনে লোক প্রথা মেনে আমি অজ্ঞতাবশত রাজা রামচন্দ্রজীর পবিত্র প্রেম স্পর্শ করে আস্থা ভঙ্গ করেছিলাম। সেই সময়ে, আমি অঞ্জনি কুমার দ্বারা দত্তক নিয়েছিলাম এবং রামচন্দ্রজীর পবিত্র হাতে সংস্কার হয়েছিলাম। তুলসী গোসাইন হয়ে গেল, ভুলে গেল অতীতের ভুল দিন, অবশেষে আজ সে ভালো ফল পাচ্ছে।

অসন বসন হীন বিষম বিষাদ লীন, দেখি দীন দুবরো করৈ ন হায় হায় কো |

তুলসী অনাথ সো সনাথ রঘুনাথ কিয়ো, দিযো ফল সিল সিন্ধু আপনে সুভায় কো||

নীচ য়হি বীচ পতি পাই ভরু হাইগো, বিহাই প্রভু ভজন বচন মন কায় কো |

তা তেঁ তনু পেষিয়ত ঘোর বরতোর মিস, ফুটি ফুটি নিকসত লোন রাম রায় কো || 41 ||

অর্থ: তাকে অন্ন-বস্ত্র থেকে বঞ্চিত, ভয়ানক দুঃখে নিমজ্জিত, নিঃস্ব ও দুর্বল দেখে, হাহাকার করেনি এমন কেউ ছিল না, সেই অনাথ তুলসীকে, দয়াসাগর স্বামী রঘুনাথজি তাঁর সংস্থার মাধ্যমে সর্বোত্তম ফল দিয়েছিলেন। তাঁর সাথে থাকাকালীন, এই নীচ ব্যক্তিটি তাঁর গর্বিত অনুভূতির কারণে, ভগবান রামের স্তোত্র ত্যাগ করেছিলেন এবং এর কারণে, তাঁর শরীর থেকে ভয়ানক পাত্রগুলি ফেটে যায়, যেন একটি গর্ত দিয়ে পাত্র থেকে লবণ বেরিয়ে আসছে।

জীও জগ জানকী জীবন কো কহাই জন, মরিবে কো বারানসী বারি সুর সরি কো |

তুলসী কে দোহুঁ হাথ , মোদক হৈঁ অ্যায়সে ঠাঁঊ, জাকে জিয়ে মুয়ে সোচ করিহৈঁ ন লরি কো||

মো কো ঝুঁটো সাঁচো লোগ রাম কৌ কহত সব, মেরে মন মান হৈ ন হর কো ন হরি কো|

ভারী পীর দুসহ সরীর তেঁ বিহাল হোত, সোঊ রঘুবীর বিনু সকৈ দুর করি কো || 42 ||

অর্থ: জানকী-জীবন, রামচন্দ্রজীর দাস আখ্যা দিয়ে পৃথিবীতে জীবিত থাকা সত্ত্বেও এবং কাশী ও গঙ্গার তীরে মরতে থাকা সত্ত্বেও তুলসীর দুই হাতে লাড্ডু রয়েছে, যার কারণে বেঁচে থাকা আর মরার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। . সবাই আমাকে রামের দাস বলে এবং আমার মনেও গর্ব আছে যে রামচন্দ্রজী ছাড়া আমি শিবেরও ভক্ত নই, বিষ্ণুরও নই। আমার দেহের অপার যন্ত্রণায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত, রঘুনাথজী ছাড়া তা দূর করার আর কোন সাধনা নেই।

সীতাপতি সাহেব সহায় হনুমান নিত, হিত উপদেশ কো মহেস মানো গুরু কৈ|

মানস বচন কায় সরন তিহারে পাঁয়, তুম্হরে ভরোসে সুর মৈঁ ন জানে সুর কৈ||

ব্যাধি ভুত জনিত উপাধি কাহু খল কী, সমাধি কী জৈ তুলসী কো জানি জন ফুর কৈ|

কপিনাথ রঘুনাথ ভোলানাথ ভূতনাথ, রোগ সিন্ধু কয়োঁ ন ডারিয়ত গায় খুর কৈ|| 43 ||

অর্থঃ হে ভগবান হনুমান! স্বামী সীতানাথজি সর্বদা আমাদের সাহায্য করেন, এবং হিতোপদেশের জন্য মহাদেবের মতো একজন গুরুর সাথে আছেন। আমি শরীর, মন ও বাণী দিয়ে তোমার চরণে আত্মসমর্পণ করছি এবং তোমার উপর ভরসা রেখে দেবতাদের দেবতা মানিনি। রোগ, ভূত বা কোন অশুভের উপদ্রব দ্বারা সৃষ্ট যন্ত্রণা দূর করে তুলসীকে আপনার প্রকৃত সেবক হিসাবে গণ্য করুন এবং শান্তি দিন। হে কপিনাথ, রঘুনাথ, ভোলানাথ, ভূতনাথ! আপনার শক্তি দিয়ে, গরুর খুরের মতো দক্ষ মঙ্গল গ্রহে রোগের সাগর নিমজ্জিত করুন।

কহোঁ হনুমান সোঁ সুজান রাম রায় সোঁ, কৃপানিধান সংকট সোঁ সাবধান সুনিয়ে|

হরষ বিষাদ রাগ রোষ গুন দোষ মই, বিরচী বিরঞ্চী সব দেখিয়ত দুনিয়ে||

মায়া জীব কাল কে করম কে সুভায় কে, করৈয়া রাম বেদ কহেঁ সাঁচী মন গুনিয়ে|

তুম্হ তেঁ কহা ন হোয় হা হা সো বুঝৈয়ে মোহিঁ, হৌং হুঁ রহোঁ মৌনহী বয়ো সো জানি লুনিয়ে|| 44 ||

অর্থ: আমি হনুমান জিকে, সুজন রাজা রামকে এবং কৃপানিধান শঙ্করকে বলছি, দয়া করে মন দিয়ে শুনুন। দেখা যায় স্রষ্টা সমগ্র পৃথিবীকে আনন্দ, দুঃখ, আবেগ, রাগ, গুণাবলী এবং বদমেজাজে ভরিয়ে দিয়েছেন। বেদে বলা হয়েছে যে ভগবান রামচন্দ্রজী হলেন মায়া, জীব, কাল, কর্ম এবং প্রকৃতির শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক। আমি মনে মনে এটা সত্য বলে বিশ্বাস করি। আমি আপনাকে আমার প্রতি সদয় হতে অনুরোধ. তবুও আমি জেনেও চুপ থাকব কারণ সে যা বুনেছে একমাত্র সেই ব্যক্তিই ফসল কাটতে পারে।

---